নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংকট ও সহিংসতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে নই। আমরা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সব পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমিত করতে, সহিংসতা পরিহার করতে ও নির্বাচনের পরিবেশ উন্নত করতে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের উপায় বের করার আহ্বান জানাই।’
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
পিটার হাস বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে একই বার্তা দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে।’
এর আগে রাষ্ট্রদূত হাস আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানান।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উš§ুক্ত এবং সহিংসতামুক্ত হওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেরুতে অবস্থান করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বড় ধরনের সহিংসতার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিদ্যমান এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দীর্ঘদিন ধরে সংলাপ-সমঝোতার ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে মানবাধিকারকর্মী ও উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো। তবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ শর্তহীন সংলাপে রাজি নয়।
একদিকে বিএনপির কঠোর কর্মসূচি ও নেতাদের গ্রেপ্তার অন্যদিকে সরকারি দলের অনড় অবস্থানের মধ্যে সমঝোতার দৃশ্যমান কোনো চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনগণের স্বার্থে সমঝোতার দিকে এগোনো দরকার দুই দলকেই। এক্ষেত্রে এমন রাজনৈতিক সংকটে সরকারি দলের উদ্যোগ নেয়া উচিত।
তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বারবার বলে আসছেন, বিএনপি ‘সন্ত্রাসী দল’। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা সম্ভব নয়। আর বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথই সমাধানের একমাত্র পথ। দমনপীড়ন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের, ভোটাধিকারের দাবিকে নস্যাৎ করা যাবে না।
