শেয়ার বিজ ডেস্ক: দাবি মানলে কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তিতে ফিরতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি গেনাডি গ্যাতিলভের মতে, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দ্বারা মস্কোর দাবি পূরণ হলে শস্য চুক্তিতে ফিরতে প্রস্তুত হবে রাশিয়া। খবর: সিএনএন।
গ্যাতিলভ অভিযোগ করে বলেন, চুক্তিটি যে উদ্দেশে হয়েছিল তা রক্ষা হয়নি। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়াচ্ছে। এতে ব্যাংক লেনদেন, বিমা, রসদ, বিদেশি সম্পদ এবং খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধের ফলে রাশিয়ার কৃষি রপ্তানি বাধার মুখে।
কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে গত সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, দুর্ভাগ্যবশত চুক্তির রাশিয়া সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে এই চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। যখন চুক্তি অনুসারে রাশিয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হবে, আমরা চুক্তিতে ফিরব।
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। খাদ্যশস্য রপ্তানির এ চুক্তি প্রথম স্বাক্ষর হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা বাড়ানো হয় এর মেয়াদ।
শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোয় ক্ষতির মুখে পড়বে বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষ। এ কথা জানিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি (ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনেশিয়েটিভ) বা শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান হামলা ও কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করে রাখার জেরে বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই শস্য চুক্তি করে রাশিয়া। দেশটির অভিযোগ, পশ্চিমাদের প্রতারণার কারণে রাশিয়ার নিজেদের পণ্য রপ্তানি এখনও বাধার সম্মুখীন।