শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এড়ানোর জন্য ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির সুযোগ ফের সচল করতে রাশিয়া, তার মিত্র চীন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চাপে পড়েছে। খবর: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এক বছরের পুরোনো শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইউক্রেনের বন্দরগুলোয় হামলা এবং বন্দরের অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য গত শুক্রবার জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মস্কোর সমালোচনা করে।
রাশিয়া বলছে, তারা কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। কারণ রাশিয়ার খাদ্য ও সার বিশ্ববাজারে পাঠানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের বাধা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ।
ক্রেমলিন বলছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বাধা দূর করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলে তারা ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর বাধা দূর করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
জাতিসংঘে চীনের উপরাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং ইউক্রেনের শস্য এবং রাশিয়ার খাদ্য ও সার উভয়ই বিশ্ববাজারে পৌঁছানো নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাশিয়া ও জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোয় খাদ্য সংকট নিরসনের স্বার্থে’ উভয় দেশ থেকে রপ্তানি ফের শুরু করার জন্য একযোগে কাজ করবে।
বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি বন্ধের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছে। ফলে এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে।
জাতিসংঘে গ্যাবনের রাষ্ট্রদূত মিশেল বিয়াং বলেন, এই চুক্তি স্থগিত হওয়ায় শস্যের দাম বৃদ্ধি এবং খরাকবলিত হর্ন অব আফ্রিকা ও অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি বর্তমান অচলাবস্থা ভাঙতে এবং মানবিক সংকট এড়ানোর জন্য আলোচনার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো আফনসো বলেন, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বহুপক্ষীয় সমাধানের প্রতি আস্থা হারানোর সঙ্গে লড়াইরত বিশ্বে বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলবে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ।
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, রাশিয়া-জাতিসংঘের সমঝোতা স্মারকের সাতটি নীতি বাস্তবায়িত হলে মস্কো চুক্তিতে ফের যোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।