শেয়ার বিজ ডেস্ক:মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শস্য চুক্তির নবায়ন চায় ইউক্রেন। ইতোমধ্যে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তিটি নবায়ন করতে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ইউক্রেন। খবর: আল জাজিরা।
ইউক্রেন সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করেনি ইউক্রেন। তবে মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের অংশীদাররা বিষয়টি নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি হয়। এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৮ মার্চ। এর আগে চুক্তি নবায়ন না হলে বিশ্বে খাদ্য আমদানিনির্ভর দেশগুলোকে মহাসংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের শঙ্কা, চুক্তি নবায়নে রাশিয়া নতুন শর্ত জুড়ে দেয়ায় চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, চুক্তি নবায়ন করতে গেলে তার দেশের শস্য ও সার রপ্তানির বাধা দূর করতে হবে।ইউক্রেন তার ৯০ শতাংশ শস্য রপ্তানি করে কৃষ্ণ সাগর রুটে। এর বাইরে সমুদ্র পথে ইউক্রেনের বিকল্প আর কোনো পথ নেই। কিন্তু গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পরপর রাশিয়া কৃষ্ণ
সাগরে নৌ অবরোধ দিলে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
যুদ্ধের পরপর কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকা কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য আটকা পড়ে ছিল। এতে বড় ধরনের সংকটে পড়ে বিশ্ব, বিশেষ করে খাদ্য আমদানি নির্ভর দেশগুলো। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। ফলে দরিদ্র দেশগুলোয় খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি স্বাভাবিক করতে গত বছরের ২২ জুলাই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়, যা কার্যকর হয় ১ আগস্ট থেকে। গত ১৭ নভেম্বর চুক্তিটি নবায়ন করা হয়। ওই সময় চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন বাড়ানো হয়, যা শেষ হবে ১৮ মার্চ।