শহিদ মিনারে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঘিরে থাকবে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেউ কোনো ব্যাগ বহন করতে পারবেন না, মোবাইল ফোনও সাবধানে রাখতে অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গতকাল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি শহিদ মিনারে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন, না তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ফুল দেবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমরা যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারা আসবেন, সেটা ধরে নিয়েই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শহিদ মিনারের চার দিকের রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, চেকপোস্টের বাইরের এবং ভেতরের এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকবে। র‌্যাব, ডিবি, সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশির পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকেও বিশেষ তল্লাশি করা হবে বলে জানান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ বহন করতে পারবে না। নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। প্রতি বছর এই শহিদ মিনার এলাকা থেকে প্রচুর মোবাইল ফোন চুরি হয়। শত শত মানুষ লাইনে থাকে, এতে করে মোবাইল চুরির বিষয়টি ধরা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়।

কোনো রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুনে ওই এলাকা নোংরা না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ এসব ব্যানার-ফেস্টুন লাগালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ যৌথভাবে সেগুলো অপসারণ করবে। অতি উৎসাহের কারণে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে উল্টো পথে আসার চেষ্টা করেন। তাদের কারণে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব, আপনাদের কাছ থেকেই জাতি শৃঙ্খলা শিখবে। দয়া করে নিয়ম মেনে চলবেন। যে রাস্তা দিয়ে আসার অনুরোধ করছি সে রাস্তা দিয়েই আসবেন। উল্টো রাস্তা দিয়ে এসে অন্যদের বিরক্ত করবেন না। বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের আলাদাভাবে শহিদ মিনারে আনা হবে বলে তিনি জানান।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যাওয়ার পথ ঠিক করে দিয়েছে একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবারও শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য লোকসমাগম সীমিত রেখে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, জনসাধারণকে পলাশী মোড় দিয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তা হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যেতে হবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর এবং পেছনের রাস্তা দিয়ে চানখাঁরপুল হয়ে বের হওয়া যাবে। এ বছরও মহামারির কারণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজন একসঙ্গে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ সময় সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০