শান্ত’র ঝড়ো সেঞ্চুরিতে জিতল আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক: দুই ম্যাচ আগেই অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১৩৩ রান। সেটাই ছিল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সেরা ইনিংস। গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আবারও জ্বলে উঠলেন এ বাঁহাতি। তুলে নিলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এবার নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান। ১৫০ রানে অপরাজিত থেকে আবাহনী লিমিটেডকে পৌঁছে দেন রান পাহাড়ে। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের দিনে খালি হাতে ফেরেনি দলটি। জিতেতে ৫৬ রানে।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে কয়েকদিন আগেই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে সমালোচনায় পুড়ছিল আবাহনী। গতকাল ব্যাট হাতে নাজমুল ইসলাম শান্ত ও সাইফ হাসান দিয়েছেন উপযুক্ত জবাব। তাদের নৈপুণ্যে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৩৫ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করে আকাশী-নীলরা। জবাবে ফারদিন হাসান অনির সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুর থামে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৭৯ রানে।

দলীয় ৩০ রানে এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরে গেলে ২২ গজে নামেন শান্ত। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন তিনি। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে এ বাঁহাতি পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। একই সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে দলের রানও দ্রুত বাড়াতে থাকেন তিনি।

সেঞ্চুরি পেতে শান্তর অপেক্ষা করতে হয় ৯৮ বল। যেখানে ছিল ৬টি চার ও দুটি ছয়। পরের ৫০ করতে এ বাঁহাতির প্রয়োজন হয় মাত্র ২২টি বল। সব মিলিয়ে ১২০ বলে সমান ৯ চার ও ৯ ছয়ে ১৫০ রান করেন অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ১১৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রানে ফিরে যান সাইফ হাসান।

দ্বিতীয় উইকেটে সাইফের সঙ্গে ১৮৫ রানের জুটি গড়েন সাইফ। তাতে বড় লক্ষ্যের ভীত পেয়ে যায় আবাহনী। শেষ ৬৩ বলে শাইনপুকুরের বোলারদের ওপর ঝড়টা একটু বেশিই বইয়ে দিয়েছেন শান্ত-নাসিররা। তারা নেন ১২১ রান। যার মধ্যে ২৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে নাসির করেন ৪৫ রান।

রান তাড়ায় সাদমান ইসলামের সঙ্গে ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন ফারদিন। তৌহিদ হƒদয়ের সঙ্গে উপহার দেন আরেকটি শত রানের জুটি। লিগে নিজের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ফারদিন। তিন অঙ্কে যাওয়ার পরপরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ১১৮ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় করেন ১০৪ রান। শেষ পর্যন্ত ঝড় তোলা হƒদয়কে (৭২ বলে ৮৩) ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। পরে আফিফ হোসেনকেও ফিরিয়ে দেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। যে কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি।

আবাহনীর হয়ে ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন মাশরাফি। নাসির ১ উইকেট নেন ৩৪ রানে।

এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার ওপরে রয়েছে আবাহনী। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। এরপরই রয়েছে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। দলটির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১৪।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আবাহনী: ৫০ ওভারে ৩৩৫/৪ (এনামুল ১৮, সাইফ ৯৪, শান্ত ১৫০*, নাসির ৪৫, মিঠুন ৯, মোসাদ্দেক ৯*; সাইফ ২/৫০, রায়হান ০/৬৩, আফিফ ০/৫৪, নাঈম জুনিয়র ২/৭৩, হƒদয় ০/৩০, মিনহাজ ০/৪৭, হƒদয় ০/১৭)

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৭৯/৩ (ফারদিন ১০৪* আহত অবসর, সাদমান ৫৬, হƒদয় ৮৩, আফিফ ১৫, মিনহাজ ৫*, সজীব ১*; মাশরাফি ২/৩৫, আরিফুল ০/৪২, সন্দীপ ০/২৮, নাসির ১/৩৪, মোসাদ্দেক ০/৪৪, সানজামুল ০/৫২, মনন ০/৪০)

ফল: আবাহনী ৫৬ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০