শেয়ার বিজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। খবর: রয়টার্স।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রেফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিজকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রতিবছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং অর্থনীতি— এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের দেয়া করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। শান্তি ব্যাতীত বাকি ৪টি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদানের ব্যাপারটি দেখভাল করে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি। শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হবে।
শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরে উভয়কেই বাদ দেয়া হয়েছে। অ্যালেক্সেই নাভালনিকে বাতিল করার কারণ— তিনি মারা গেছেন। আর ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বাদ পড়েছেন এই কারণে যে তিনি একটি যুদ্ধরত দেশের প্রেসিডেন্ট।
নরওয়ের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরদাল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘ দিন ধরে সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার তৃতীয় বছরে পা রাখতে চলেছে, সুদানে গত দেড় বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে ধ্বংসের লক্ষ্যে প্রায় এক বছর ধরে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিষয়ক ইতিহাসবিদ অ্যাশলে সেভিনের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীজুড়ে যে বৈশ্বিক আইনের শাসন চালু হয়েছিল, তা গত কয়েক বছরে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই বৈশ্বিক আইন ও বিশ্বব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে যারা অবদান রাখছেন, তাদেরকেই এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিচ্ছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। সেই হিসেবে পুরস্কারের জন্য মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং আইসিজের মধ্যে।