Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 8:24 pm

শাল দুধ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ অর্জন করলেও এটা আবার উদ্বেগজনকভাবে কমে আসছে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালে নিয়মিতভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৯০ শতাংশ থেকে কমে ৮৭ শতাংশ হয়েছে। শালদুধে এমন অনেক উপাদান থাকে, যেগুলো নবজাতককে সাধারণ কিছু অসুখ, যেমন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য জরুরি।

ছোট শিশুর খাবারের মানদণ্ড তৈরিতে সরকারকে সাহায্য করছে ইউনিসেফ। কাউন্সেলিং ও মানুষের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউনিসেফ। এসব স্বাস্থ্যকর্মীরা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করেন এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার পদ্ধতিগুলো মা, সেবাদাতা ও পরিবারের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। বয়সের ভিত্তিতে শিশুর খাবারের পরিমাণ, কয়বার করে খাওয়াতে হবে এবং সম্পূরক খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার বিষয়ে আদর্শ মান ঠিক করতে ইউনিসেফ সরকারকে সহায়তা করছে। বুকের দুধ খাওয়ানো ও তা সংরক্ষণ এবং স্তনের কোনো সমস্যা হলে তার সমাধানের পদ্ধতি মেয়েদের সামনে তুলে ধরার মতো সক্ষমতা অর্জনে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয় ইউনিসেফ। পরিবারের বর্তমান কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করার দক্ষতা তৈরিতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তথ্য ব্যবহার করে সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে কর্মসূচি ঠিক করারও সক্ষমতা অর্জন করেন তারা।

সন্তান জন্মের আগে পুষ্টি বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণকারী মায়েদের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কাজ করছে ইউনিসেফ। পুষ্টি বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির ওপরও নজর দিচ্ছে ইউনিসেফ। পাশাপাশি ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের ‘ভিটামিন এ’ খাওয়ানোর হার যাতে আরও বাড়ে সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

শহরাঞ্চলের নারী ও শিশুদের চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে তাদের অধিকার রক্ষার ওপর জোর দেয় ইউনিসেফ। ‘মাদারস অ্যাট ওয়ার্ক’ উদ্যোগের আওতায় ইউনিসেফ কারখানায় কর্মীদের জন্য পরিবারবান্ধব নীতি গ্রহণে মালিকদের উৎসাহিত করে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম সাতটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করা হয়েছেÑদুধ খাওয়ানোর জন্য নির্ধারিত স্থান, দুধ খাওয়ানোর জন্য বিরতি, চাইল্ড কেয়ারের ব্যবস্থা, বাবা-মা হতে যাচ্ছে এমন কর্মীদের জন্য ছুটি, নগদ ও চিকিৎসা সুবিধা, চাকরির সুরক্ষা এবং নিরাপদ কাজের ব্যবস্থা।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে