নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। এ সময় ওই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় তিনি গভীর শোক ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর বাস র?্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের সময় কংক্রিটের গার্ডারচাপায় দুই শিশুসহ পাঁচজনের প্রাণহানি হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে বিশেষ লেনের মাধ্যমে বাস চলাচলের জন্য বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্প-সংক্রান্ত নথি অনুসারে, ২০১২ সালে নেয়া বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উড়ালপথ ও সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে তিনটি চীনা কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
আর গাজীপুরে ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি। এদের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তবে চীনের তিনটি কোম্পানির কাজ চলছে। এ প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশের নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদন্তের জন্য চীন থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। প্রতিনিধিদলটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সমগ্র জাতি ব্যথিত। তিনি যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।