Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:28 am

শাস্তি পাচ্ছেন তুং হাই নিটিং ও লেক্সকোর এমডি-পরিচালকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিকিউরিটজ-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তুং হাই নিটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সচিবসহ প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত) এক লাখ টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিএসইসি। একইভাবে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে গেটওয়ে ইকুইটি রিসোর্সকে এক লাখ টাকা এবং লেক্সকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিবসহ অন্য পরিচালকদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বিএসইসি।

গতকাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেকহোল্ডার ইস্টার্ন শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোসের শেয়ার সিরিজ লেনদেন করায় এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসের গ্রাহক সোলায়মান রুবেলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

সোলায়মান রুবেল ২০১৫ সালে ২৯ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত নিজের কোডে ইফাদ অটোসের বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন করেন। এক্ষেত্রে লেনদেন হলেও মালিকানা পরিবর্তন হয়নি। এ লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করায় ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ও তার অনুমোদিত প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রুম্মানকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের গ্রাহক ফেরদৌসী রহমান ছয়টি বিও হিসাবের মাধ্যমে এক কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু হাউসটি গ্রাহকের অনুমোদন ছাড়া ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার বিক্রি করে। এছাড়া ফেরদৌসী রহমানের অভিযোগের আলোকে তার জমা থেকে ৩৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার কম মানি রিসিট দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যে টাকা কামরুজ্জামান রুম্মান আত্মসাৎ করেছেন। এসব কারণে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও তার অনুমোদিত প্রতিনিধিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে কমিশন।

এছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়ে গ্রাহকের দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কামরুজ্জামান রুম্মানের অনুমোদিত প্রতিনিধি সনদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাকে এ সময় পর্যন্ত শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।