ক্রীড়া প্রতিবেদক: ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপে ট্রফি জয়ের রেশ এখনও কাটেনি বাংলাদেশ শিবিরে। এর মধ্যে একটি দুঃসংবাদ পেলেন তিন জুনিয়র টাইগার- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। গত রোববার ফাইনাল শেষে দু’দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন তারা। এদিকে ভারতের দুই ক্রিকেটার পেয়েছেন আরও বড় শাস্তি।
গেল রোববার রোমাঞ্চ ম্যাচের শেষ দিকে জয়সূচক রান নেন রকিবুল হাসান। সে সময় উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তখনই মাঠে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয় জুনিয়র টাইগারদের। পতাকা নিয়ে টানাহিঁচড়ার ঘটনাও ঘটে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে দুঃখও অবশ্য করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পুরো ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গত পরশু জমা দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়। সে অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। এদিকে ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। তৃতীয় মাত্রার শাস্তি হওয়ায় সবাইকে কড়া শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।
তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। আর শামিম সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি। তবে তার ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। এদিকে স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এসব পয়েন্ট বাংলাদেশি এ তিন জুনিয়র টাইগারের ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে বাংলাদেশি জুনিয়র টাইগারদের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় জড়িয়ে শাস্তি পাওয়া ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। এর সঙ্গে বাজে ভাষা ব্যবহার করায় তিনি পেয়েছেন আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এ পাঁচ ক্রিকেটারকে।
এদিকে এ দুঃসংবাদের সঙ্গে সুখবর হলো আইসিসির যুব বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেলেন তিন টাইগার ক্রিকেটার। দলের অধিনায়ক হলেন আকবর আলী। যার ব্যাটে ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে টাইগাররা।
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দল-
যাশাসবি জয়সাওয়াল, ইব্রাহিম জাদরান, রবিন্দু রাসান্থা, মাহমুদুল হাসান, শাহাদাত হোসেন, নিম ইয়ং, আকবর আলী (অধিনায়ক), শফিকুল্লাহ গাফারি, ববি বিষ্ণুই, কার্তিক তিয়াগি, জায়ডেন সিয়ালেস। দ্বাদশ খেলোয়াড় অকিল কুমার।