নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮০টি স্বর্ণের বারসহ সিভিল এভিয়েশনের এক নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এর কর্মকর্তাদের সহায়তায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তাকে আটক করা হয়। বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ এই তথ্য জানান।
মহাপরিচালক বলেন, দুবাই থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হতে পারে বলে তথ্য পায় শুল্ক গোয়েন্দা। এরই প্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় সর্তক অবস্থান নেয়। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে দুবাই হতে বিজি ১৪৮ ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
একই সঙ্গে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মাসকট হতে আগত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স একটি ফ্লাইট এবং সাড়ে আটটায় মাসকট হতে ওমান এয়ারলাইন্স এর একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অব্তরণ করে। তিনটি ফ্লাইটে আগত যাত্রীদের ওপর নজরদারি করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতি টের পেয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির একজন নিরাপত্তাকর্মী এ্য্যাপ্রোন এলাকায় সন্দেহজনকভাবে দৌঁড় দেয়। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে। ধরা পড়ার পরও তিনি জোর জবরদস্তি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত এনএসআই কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। তার নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সহকারী নিরাপত্তাকর্মী বলে জানা গেছে।
ড. মো. আব্দুর রউফ জানান, বিমানবন্দরে সকল সংস্থার উপস্থিতিতে আটক বেলাল উদ্দিনের দেহ তল্লাশি করা হয়। পরে তার কোমরে বেল্টের নিচ থেকে তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলো হলুদ স্কটটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিলো। তিনটি প্যাকেট থেকে ৮০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ৯ দশমিক ২৮ কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, প্যাকেটগুলো টয়লেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। সেখান থেকে তিনি নিয়ে আসেন। তবে কার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি। স্বর্ণবারগুলো অবৈধভাবে সরকারি শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে, যা বিমানবন্দর সীমানার বাইরে পাচার করা হচ্ছিল। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তৎপরতায় চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া একটি ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান মহাপরিচালক।
###