প্রতিনিধি, রাবি: অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভাগ থেকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে বিভাগের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এসময় বিগত ৬ বছর বিভাগের পরিচালক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও বর্তমান পরিচালককে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করার অভিযোগ ও উঠেছে।
এসময় ‘এক দুই তিন চার, মামুন তুই আইআর ছাড়’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, আইআর বাসী জেগেছে’, ‘এক দফা এক দাবি মামুন তুই কবে যাবি?’, ‘মামুনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এমনসব স্লোগান দেন তারা।
আন্তর্জাতিক বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী নওশিন ইসলাম বলেন, উনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৬ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর নানা রকম অনিয়ম অত্যাচার করে আসছে। বিভাগের সেশনজট, অর্থ কেলেঙ্কারি ও যৌন হয়রানির সাথে উনি জড়িত। বোরকা পরাকে সে পতিতাবৃত্তি বলেছেন। এরকম শিক্ষককে আমরা আমাদের বিভাগে চাই না। আমাদের বিভাগের না হয়েও সে থাকার জন্য নানা রকম তালবাহানা শুরু করেছে। আমরা উপাচার্য বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছি কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।
আরেক শিক্ষার্থী ওমর ফারুক তুফান বলেন, সে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের বিভাগে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে। উনি ইতিহাস বিভাগ থেকে আমাদের বিভাগে চেয়ারম্যান হয়ে আসছিল। তার আগেই চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে অনিয়ম, দালালী করে থেকে গেছে। কিন্তু আমরা তাকে এই বিভাগে আর দেখতে চাইনা। আমরা চেয়ারম্যান স্যার কে গতকাল লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কমিটি করার জন্য। আইআর বিভাগ থেকে তার অপসারণ চাই। তারপর কি করবে তা প্রশাসন ঠিক করবে।
বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাউফু ইসলাম ইতু বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অবস্থান তৈরি হয়েছে তার জন্য সে নিজেই দায়ী। সে এই বিভাগে থাকলে সবাই বিপদে থাকবে। তার যখন মন চাচ্ছে যার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমাদের শিক্ষকরাও সেইফ না তার কাছে। ক্লাসে পড়ানোর নামে সে পারিবারিক গল্প করে। সে আমাদের সিনিয়রদের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। সে জুলাই বিপ্লবে খুনি হাসিনার পক্ষ নিয়েছে। ছাত্র হত্যার পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট ও করেছে। আমরা আর তাকে এই বিভাগে দেখতে চাই না।
এসময় প্রায় বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।