শিক্ষকদের অন্তর্কলহে অস্বস্তিতে জাককানইবি উপাচার্য

প্রতিনিধি, জাককানইবি: শিক্ষকদের অন্তর্কোন্দলের কারণে দুই মাস আটকে আছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা নিয়োগ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক।

সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দুই বছরের মেয়াদ শেষ করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শেখ সুজন আলী।

জানা যায়, এর বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই ছাত্র উপদেষ্টা পদ দখলের জন্য তোড়জোড় শুরু করেন বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। তাদের মধ্যে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজিজুর রহমান, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, একই বিভাগের আরেক সহযোগী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ দে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীর নাম উল্লেখযোগ্য।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু নীলদল ও শিক্ষক সমিতি থেকে একাধিক শিক্ষকের নাম ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব করায় এ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানকে।

শিক্ষকরা এক হয়ে একটি নাম প্রস্তাব করতে পারলে তাকে নিয়ে ভাবারও আশ্বাস দেন উপাচার্য। তবে এ সিদ্ধান্ত উপাচার্য নয় বরং সিন্ডিকেট নিবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের জানান, সিন্ডিকেট সভা এ দায়িত্ব উপাচার্যকে দিয়েছে। তবে কোনো কারণে তিনি অস্বস্তিতে পড়লে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সিন্ডিকেট সভার ওপর সে দায়িত্ব দিতে পারেন।

নিয়োগ নিয়ে উপাচার্য চাপে রয়েছেন কি নাএ প্রশ্ন করলে উপাচার্য বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো চাপ নেই। সিদ্ধান্ত তো নেবে সিন্ডিকেট।’ তবে নিয়োগ দিতে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি। ২৩ এপ্রিলের পর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘নানাভাবে উপাচার্যকে বেকায়দায় ফেলে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ে উঠেপড়ে লেগেছে শিক্ষকরা, যেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীদের স্বার্থই আমাদের মূল ভাবনার বিষয় হওয়ার কথা ছিল।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০