Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:18 am

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

গতকাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি মনে হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সংক্রমণ বাড়বে, তখন আমরা বন্ধ করে দেব। কিন্তু এখনও যে অবস্থায় আছে, আমরা চেষ্টা করছি, আমরা কী করে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষিত রেখে সংক্রমণ বাড়ার ক্ষেত্রে আমরা যেন দায়ী না হই, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

দেশে কভিড ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৫৪৩ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।

এরই মধ্যে গত নভেম্বরে কভিডের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে।

এরপর দেশে আবার কভিড রোগীও বাড়ছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হারও পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে কিছু বিধিনিষেধ ফেরাতে যাচ্ছে সরকার।

এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে কভিড-সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে গতকাল রাতে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আমাদের কী কী অপশন আছে, সব দেখে, আমরা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যেহেতু এখন টিকার কার্যক্রম খুবই জোরেশোরে চলছে, সবাইকে সেই টিকার আওতায় এনে আমরা কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারি, সেই ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’

দেশে এখন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও কভিড টিকা দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছেÑএমন গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘নানাভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আপনারা গুজবে কান দেবেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা প্রয়োজনে বন্ধ করব, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সেই প্রয়োজনটা অনুভূত না হবে, ততক্ষণ নিশ্চয়ই আমরা বন্ধ করব না। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’