আহসান হাবীব, জাককানইবি: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের দুই আনসার সদস্য। এ ঘটনায় তাদের চাকরিচ্যুত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সরকার ফোকলোর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
চাকরিচ্যুত দুই আনসার সদস্য হলেন মাসুদ ও শরীফ। তারা মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঐশ্বর্য নামের ওই শিক্ষার্থী তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে মমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। টিকিট সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এ দৃশ্য দেখে দুই আনসার সদস্য আসে এবং তারাও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন তারা। পরে আহত শিক্ষার্থী এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আসাদুজ্জামান নিউটনকে জানান।
মমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জুলহাস মিয়া বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিষয়টি হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে তাকে হাসপাতালের উপপরিচালক মো. ওয়ায়েজউদ্দিন ফরাজির কাছে নিয়ে যাই। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামান নিউটন হাসপাতালে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আনসার সদস্যরা দোষী বলে প্রমাণিত হয়। পরে ওই দুই আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়।’
আহত ঐশ্বর্য বলেন, ‘তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই। দুই আনসার সদস্যকে বলি যেন আমাকে আগে গিয়ে টিকিট নেয়ার অনুমতি দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করেন।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক মো. ওয়ায়েজউদ্দিন ফরাজি বলেন, ‘মারধরের কথা স্বীকার করায় অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’