নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রযুক্তির যুগে বিপুলহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টানেট সেবা। প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসাম্য দূরীকরণে ইন্টারনেটের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য হলেও কিছু অসুবিধা রয়ে গেছে। নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ব্র্যাকের সহায়তায় এ বছর গ্রামীণফোন দেশের আরও ২৫০ স্কুলে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে নিরাপদ ইন্টারনেটের প্রচারণা নিয়ে কাজ করবে।
গতকাল মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানানো হয়।
ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন দেশজুড়ে ৫০০ স্কুলে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন প্রচারণার আয়োজন ও দায়িত্বশীলভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের গাইডবই বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে। নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচি মূলত স্কুলগামী শিশুদের নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে তাদের করণীয় ও কী করা যাবে না, সে সম্পর্কে জানানো হবে। এর আগেও গ্রামীণফোনের নিরাপদ ইন্টারনেটবিষয়ক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে ব্র্যাক।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও ইন্টারনেট ব্যবহার তেমন আকারে ছিল না। এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে পড়াশোনা, কেনাকাটা, ট্রানজেকশনÑসবকিছু করা হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম হচ্ছে ইন্টারনেট। তবে ইন্টারনেটের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়লেও তা নিরাপদ কম। এক্ষেত্রে শিশুদের মাঝে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ও এর সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজে অসমতা দূর করা সম্ভব।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তার অংশ হিসেবে অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করাকে নির্বাচন করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ। শিশুরা যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, এ মাধ্যমে যোগাযোগ করে এবং এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, সে লক্ষ্যেই চলছে এ উদ্যোগ।
ব্র্যাকের স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশন ও এমপাওয়ারমেন্টের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, দায়িত্বশীলভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের সহযোগী হতে পেরে ব্র্যাক অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, দেশের ভবিষ্যতের নেতৃত্বদানকারীদের শিক্ষিত ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে আমাদের যে লক্ষ্য, যৌথভাবে তা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।
Add Comment