প্রতিনিধি, জাবি: সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত পৌনে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এসময় মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু হল, বটতলা, রেজিস্ট্রার ভবন হয়ে চৌরঙ্গী থেকে মেয়েদের হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মশাল মিছিল শেষে শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। ২০১৮ সালে যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে কোটা সংস্কার চেয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রী সকল কোটা বাতিল করে এর সমাধান দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি, কিন্তু পুলিশ সেখানে হামলা করেছে।
আমরা হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে অবিলম্বে আইন পাশ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। এটা একটি ধারাবাহিক আন্দোলন। হামলা মামলা করে আমাদের আন্দোলন দমন করা যাবে না। । দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সমাবেশে সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে সবাইকে এই আন্দোলনের আসতে উদ্বুদ্ধ করুন।
শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
এসময় মশাল মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে কুবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই “আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁয় নাই”, “কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “মেধাবীদের কান্না আর না আর না”, “মেধা নাকি কোটা, মেধা মেধা” প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও এক দফা দাবিতে এ মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।