প্রতিনিধি, বাকৃবি : শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমরা নৈতিকভাবে একমত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতের মধ্যে কোনো দূরন্ত নেই। এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত কোনো প্রশাসন নেই। তাই আমরা দাবিগুলোর বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক চৌধুরী পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। আমরা আশা করবো অন্যরাও দ্রুত পদত্যাগ করবেন। এরপর নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলে, নতুন প্রশাসনিক বডি গঠিত হবে। নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর সংস্কার এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অতি দ্রুত তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে এবং ক্লাস শুরুর নোটিশ দিবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই ক্যাম্পাসে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে বসে দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

ক্যাম্পাসে সকল ধরণের রাজনীতি বন্ধের জন্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (১১আগস্ট) আন্দোলন পরবর্তী বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের সাথে আলোচনায় বসেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এসব কথা জানান তারা। তাদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে হলে ফিরে যান।
জানা যায়, ১১ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একত্রিত হয়ে রাজনীতি বন্ধের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা শিক্ষক কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে ক্যাম্পাসে সকল ধরণের রাজনীতি বন্ধ এবং উপাচার্যকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পদত্যাগ করার দাবি তোলেন। ক্যাম্পাসে এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অবহিত করেন এবং কোনো ঝামেলা না হওয়া বিষয়টি আশ্বস্ত করেন। তারা কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষক কমপ্লেক্সে শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সা. সম্পাদকের সাথে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।