বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্যানেল না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে ভোট ছাড়াই উপাচার্য প্যানেল গঠিত হয়েছে। আর রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ও ছাত্র প্রতিনিধিসহ ৫০ জন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতেই উপাচার্য নির্বাচনের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল অনুমোদন করেছে ঢাবি সিনেট। এর প্রতিবাদ করায় বর্তমান উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত বিশেষ অধিবেশনে সিনেট সদস্যরা এ প্যানেলের অনুমোদন দেন।
নির্বাচিতরা হলেন ঢাবির বর্তমান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও নীল দলের আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আজিজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামুজ্জামান শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ আর্টিকেল ১১ (১) অনুযায়ী, চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হয়েছে।
এদিকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য আহূত বিশেষ অধিবেশনকে কেন্দ্র করে কিছু শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সিনেট অধিবেশনের একটু আগে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্যোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেটের এ অধিবেশনকে অবৈধ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। তারা উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি তোলেন।
এর জের ধরে সিনেট অধিবেশন চলাকালীন রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের মূল ফটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় গেটে তালা লাগানো থাকায় শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু সেখানে থাকা শিক্ষকরা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
যাদের সঙ্গে ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর-এর শিক্ষক কাজী ফারুক হোসেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং জবি নীল দলের নেতা। বিক্ষোভের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের লাথি মারেন। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এএম আমজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা না করে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা শিক্ষকরা তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর উপাচার্য অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। তবে জবি শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীদের তাড়া করার বিষয়ে তিনি বলেন, সে আমাদের সাবেক ছাত্র। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এমনটি করেছে হয়তো।
Add Comment