তথ্য-প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ দেয় ‘শিখবে সবাই’। এরই মেধ্য বাংলাদেশের পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী আয় করেছে প্রায় আট লাখ ডলার।
১১ তরুণের হাত ধরে ২০১৭ সালে ‘শিখবে সবাই’র যাত্রা। বর্তমানে রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি ও বনানীর তিনটি ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অনলাইনেও তাদের সেবা পাচ্ছে অনেকে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ংযরশযনবংযড়নধর.পড়স
নতুন বছরের শুরুতে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আবদুল কাদের বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেদের মেধা কাজে লাগিয়ে লাখো তরুণ-তরুণী যাতে বেকারত্বের অভিশাপ কাটিয়ে উঠতে পারে, সে উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ‘শিখবে সবাই’।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে আরও সাত হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষিত করে তাদের অনলাইন ও প্রথাগত কর্মক্ষেত্রের জন্য যুগোপযোগী করে তোলাই হবে আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি অন্যান্য সেবাও অব্যাহত থাকবে।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, থিম ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টসহ আরও অনেক বিষয়। প্রশিক্ষণের পর শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে ‘শিখবে সবাই’। এর মধ্যে রয়েছে ডিজাইনার, ফ্রিল্যান্সিং, বিডিং, কোডিং ও স্পোর্টস প্রতিযোগিতা।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিনামূল্যে অনলাইন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে ‘শিখবে সবাই’। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও যে কেউ অনলাইন সেবা নিতে পারবেন। প্রায় ১০ হাজার ৬০০ ফ্রিল্যান্সার আইটি-বিষয়ক সহযোগিতা নিয়েছেন এই ফ্রি অনলাইন সার্ভিস থেকে। এছাড়া দেশের ৫০ জেলার শিক্ষার্থীকে এ অনলাইন সেবার আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রায় ১২ দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও অনলাইন ক্লাসে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিনামূল্যে তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ‘শিখবে সবাই’। এসব কর্মশালা ও সেমিনারে শিক্ষার্থীদের নানা প্রযুক্তিগত ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে ‘শিখবে সবাই’র ক্যাম্পাসগুলোয় নতুন বিষয়ের ওপর কর্মশালা হয়ে থাকে। এখানে যে কেউ অংশ নিতে পারেন।