শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকারের সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসব উদ্যোগের প্রভাবে শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

গতকাল বুধবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

গতকাল বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে  প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও যুদ্ধকেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিভিন্ন সংকট অনুভূত হচ্ছে। এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতি, ভর্তুকি ব্যয়, লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর।’

এর মধ্যেও মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের বাজার, পণ্যের আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, গার্মেন্টস রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকে তারল্য, টাকা পাচার রোধ, গ্যাস সরবরাহ, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে ১০টি দেশের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলোয় ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা যায়।’

ঢাকা-১৯ আসনের মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারের কয়েক পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ অনুভূত হচ্ছে। সরকার বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। উদ্যোগগুলোর কার্যকর প্রভাব অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘জনসাধারণের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং এর ফলে চলমান সাময়িক সংকট কেটে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ বছরে ৩৫ লাখ ৮ হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০