নিজস্ব প্রতিবেদক: কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ঈদযাত্রার ট্রেন। এবার ভিড় অন্য ঈদের মতোই। সঙ্গে রয়েছে ট্রেনের শিডিউল বিড়ম্বনাও। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি করেও ছাড়তে দেখা গেছে কোনো কোনো ট্রেন। গতকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ট্রেন ছেড়েছে নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে।
ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ট্রেনের এমন বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে শিডিউল বিপর্যয় মেনে নিয়েই চলতে হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, বুধবার থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে অনেকগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে জয়দেবপুর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত স্টেশনগুলো একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব অনেক বেশি। এ কারণে ক্রসিংয়ের সময় একটু বেশি লাগে। এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার, একটা ট্রেন গেলে অন্য আরেক ট্রেন আসতে বা যেতে পারে না। অপারেটিং সিস্টেমের কারণেও ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হয়। আমাদের প্রস্তুতি ও চেষ্টা রয়েছে যেন এবারের ঈদ যাত্রায় বড় ধরনের শিডিউল বিপর্যয় না হয়। তবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর কিছুটা বিলম্ব এবং শিডিউল বিপর্যয় হতে পারে এবং সেটা আমাদের মেনে নিয়েই চলতে হবে।
বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে। পরে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ৬টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হয়। এরপর ধূমকেতু ট্রেনটি ৫৫ মিনিট দেরিতে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে।
সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার পর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেনটি সকাল ৭টা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে আসেনি। পরে সাড়ে ৭টার দিকে এটি ছাড়ে। আর সকাল ৭টার ট্রেন চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেছে সঠিক সময়েই।
এদিকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনের ট্রেনেই বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঘরমুখো মানুষ। বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী যাবেন মো. ফারুক। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি বলেন, আমাদের ট্রেন ১টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মেই এসেছে দেরিতে। এখন ছাড়তে মনে হয় আরও দেরি হবে। ঈদযাত্রার প্রথম দিনের ট্রেনেই বিলম্ব। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকিট পেয়েছিলাম। স্টেশনেই কাউন্টারের সামনে সারারাত লাইনে অপেক্ষা, আড্ডা দিয়ে সময় পার করে টিকিট করা। এখন আবার সেই একই দৃশ্য। তবে ঘরে ফিরতে পারব এটাই শান্তি।