Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:43 pm

শিমুলিয়ায় সচেতনতার লেশমাত্র নেই, নেই তদারকি

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফিরছে মানুষ। অনেকটা গাদাগাদি করে ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ। দক্ষিণবঙ্গগামী এসব মানুষে ফেরিতে গাদাগাদি করে ফেরিতে ফিরছেন। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মানুষের চাপ তত বাড়ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে ঘরমুখোদের মধ্যে সচেতনতার লেশমাত্র নেই। প্রশাসনের নেই কোন প্রকার তদারকি।

সোমবার (১৮ মে) সকালে শিমুলিয়া ঘাটে শত শত লোক ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। ফেরির অপেক্ষায় পল্টুনের উপর দাঁড়িয়ে আছে হাজারো মানুষ। যখনই কোন ফেরি আসছে, তখনই লোকজন হুমড়ি খেয়ে ছুটছে ফেরিতে উঠতে। গাদাগাদি করে তারা ফেরিতে দাঁড়িয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

একদিকে দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলা থেকে শিমুলিয়াঘাটে ছুটে আসছেন শত শত যাত্রী। অন্যদিকে থেকে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপরা চাপ দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম অবস্থায় প্রশাসন কিছুটা তদারকি করলেও এখন আর তদারকি করতে দেখা যায় না।

মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, সকাল থেকেই ঈদকে সামনে রেখেই মূলত শিমুলিয়াঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঢাকামুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
ঘাট এলাকায় সকাল থেকে ৪-৫ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও মোটর সাইকেল। তবে সচেতনতার বিষয়ে তিনি কোন জবাব দেননি।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়াঘাটে উভয়মুখেই যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। ঘাটে শত শত ছোট ছোট যানবাহন ফেরী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে সকাল থেকে নৌরুটে ১৩টি ফেরি চালু রয়েছে। তবে সচেতনতার বিষয়ে কোন পদক্ষেপের বিষয় তিনি জানাতে পারেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকজনের চাপ এতোটাই বেশি যে, গাড়ি পর্যন্ত ঠিকমত ফেরিতে উঠতে পারছিল না। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রো বাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পার হচ্ছে ফেরিতে। তাই দক্ষিণবঙ্গমুখী গাড়ির লাইন দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে।