মুখোমুখি তিনটি আবক্ষ ভাস্কর্য। মাথার ওপরের দিকে কিছুটা ফাঁকা। কোনোটির ভেতরে পিস্তল, কোনোটিতে গ্রেনেড। আর সামনে চোখবাঁধা মুণ্ডুকাটা লাশ, যা পরিচয় দিচ্ছে সন্ত্রাসীদের চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান আলীর শিল্পকর্ম এটি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে প্রদর্শনীর জন্য উম্মুক্ত শিল্পকর্ম ছিল এটি। প্রদর্শনীতে মিডিয়া বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে শিল্পকর্মটি।
ইমরান আলী বলেন, শিল্পকর্মটিতে সমাজের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের চিন্তাভাবনাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তারা যে নীরিহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সেই চিত্র বহন করছে এটি। কারণ তাদের মাথায় থাকে ধ্বংস ও বিনাশ। তারা ইচ্ছা করে নিজেদের মধ্যে এগুলো ঢোকাচ্ছে না, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের চিন্তাশক্তির মধ্যে এগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
রাশেদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর কর্ম ছিল বর্তমান হারিয়ে যাওয়া ডাক বিভাগকে নিয়ে। যেখানে ডাকের অযতেœ চিঠিপত্র হারিয়ে গেছে। ভাঙ্গাচোরা ডাকবক্সটির নিচে চিঠিগুলো ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে আছে। সমাজের মানুষের যোগাযোগে ডাকের কার্যকারিতা কমে গেছে, এমনই বোঝাচ্ছে শিল্পকর্মটি।
শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজকে তুলে আনতে এমন আশির অধিক শিল্পকর্ম বার্ষিক প্রদর্শনীটিতে বসে।
চন্দ্রবিন্দু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়