প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জেলার বোয়ালামারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু ছাত্রী আসামি রাসেল সিকদারের পূর্বপরিচিত ছিল। শিশুটির মা বাড়ির পাশে রাস্তায় মুদি দোকানি ছিলেন। দোকানে রাসেলের কিছু টাকা বাকি ছিল।
ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় রাসেল শিশুটিকে বাড়ি থেকে পাওনা ১৫০ টাকা নিয়ে আসতে বলে। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর রাসেল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়।
পরে রাসেলের বিবরণ অনুযায়ী গোসলখানার ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল নিজেই হত্যার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মোক্তার হোসেন ঘটনার পরদিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি।