Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:13 pm

শিশুদের কভিডের টিকা

কভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রথমে শুধু বয়স্ক ব্যক্তিদের দেয়া হলেও দ্রুতই অনেক উন্নত দেশে বড়দের পাশাপাশি পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হয়। এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে শিশুরা টিকা পেয়েছে এবং টিকার কারণে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা শোনা যায়নি। ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব সব শিশু এবং কভিড-১৯ টিকা পাওয়ার যোগ্য তরুণেরাও কভিড টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন।

বাংলাদেশেও ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের কভিডের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিকা পেতে উল্লেখিত বয়সী শিশুদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। শিশুদের যাদের জš§নিবন্ধন করা নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে এবং টিকাদান শুরু হলে যাতে আপনার শিশু বাদ না পড়ে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

বলার অবকাশ রাখে না যে, করোনা ভাইরাস এখনও আমাদের সঙ্গে আছে এবং মাঝে মধ্যে আমরা সবাই সংক্রমিত হচ্ছি। শুধু তা-ই নয়, বড়দের পাশাপাশি এখন শিশুরাও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

কভিড টিকা দেয়ায় লাভ কী: টিকা শিশুদের কভিডের সংক্রমণ ও কভিডে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিসহ নানা রকম জটিলতা এবং কাভিড-পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে। যেসব শিশুর আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি, ডায়াবেটিস, স্থূলতা প্রভৃতি থাকে, তাদের জন্য কভিড টিকা নেয়া খুবই জরুরি। কারণ, কভিড সংক্রমণ হলে তাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। শিশুর আগে কভিড হলেও এ টিকা নেয়া যেতে পারে এবং তাতে কোনো অসুবিধা নেই। একই সময়ে অন্য টিকার শিডিউল থাকলেও কভিড টিকা নিতে সমস্যা নেই।

টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী: অন্য টিকার মতো কভিড টিকা নেয়ার পরও ছোটখাটো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে তা টিকার লাভের তুলনায় নেহাতই নগণ্য। যেকোনো টিকার মতোই এতেও টিকা দেয়ার জায়গায় ব্যথা ছাড়াও ক্লান্তি লাগা, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বা বমি বমি ভাব প্রভৃতি হতে পারে। সাধারণত এগুলো এক থেকে দুই দিন থাকার পর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বিরল।

পরিশেষে দেশে কোভিড টিকা সহজলভ্য হলে কভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫-১২ বছর বয়সী সব শিশুকে অবশ্যই নির্ধারিত সূচি মেনে কভিড টিকা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলা উচিত।

আবিদ হোসেন মোল্লা

অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান

শিশুরোগ বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল