Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:28 am

শিশুদের পদচারণে মুখর বইমেলার ‘প্রথম শিশুপ্রহর’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাবার হাত ধরে একুশে বইমেলায় এসেছে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু আফিফা ফাইরুজ। এবারেই বইমেলায় প্রথম সে। শিশুপ্রহরে ফাইরুজের আবদারে তাকে সিসিমপুর থেকে হালুম আর টুকটুকির বই কিনে দিয়েছেন বাবা।

একুশে বইমেলায় শিশুদের মূল আকর্ষণ এই শিশুপ্রহর। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। 

শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে  বেলা ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর। সে অনুযায়ী, গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণের শিশু চত্বর নান্দনিক করে সাজানো হয়।

শিশু চত্বরের স্টলগুলোয় শিশুদের বই রাখা হয়েছে। সেখানে চলন্তিকা বইঘর, শিশু প্রকাশ, শৈশব, চিলড্রেনস বুক, সিসিমপুর প্রভৃতি স্টল রয়েছে, যেগুলোয় রয়েছে শিশুদের বই। 

এ আয়োজনে বরাবরই শিশুদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলো। তবে এবার শিশুদের আনন্দ দিতে স্টেজে হালুম, ইকরি ও টুকটুকির দেখা মেলেনি। তবে বই দেখেই আনন্দ নিয়েছে শিশুরা।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকে শিশুরা। বইয়ের রাজ্যে এসে মহাখুশি তারা।

এ নিয়ে আফিফা ফাইরুজ বলেন, মেলায় এসে অনেক বই দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। আমর নানুবাড়িতেও এত বই নেই। এখানে অনেক বই। সব আমি ঘুরে দেখেছি, আর রাজকুমারী আর ভূতের গল্পের বই কিনেছি।

শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা বাবুই-এর স্বত্বাধিকারী কাদের বাবু বলেন, শিশুচত্বর এখনও সম্পন্ন করা হয়নি। কিছু কাজ বাকি আছে। তবে ছুটির দিনে শিশুরা আসছে, বই দেখছে। আশা করি এবার একটি সুন্দর মেলা হবে।

এদিকে শিশুচত্বর ছাড়াও ছুটির দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঠক ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল বেশ দারুণ। সকাল থেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন অনেকে। আর প্রকাশকেরা আশা করছেন, ছুটির দিনের মেলা জমে উঠবে বেশ।

এ বিষয়ে অনুপম প্রকাশনীর কর্ণধার মিলন কান্তি নাথ বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বইমেলার নানা পরিবর্তন দেখেছি। এর ধারাবাহিকতা এবারও আছে। মেলার আয়োজন এবার ব্যতিক্রম। আশা করছি খুব ভালো বইমেলা হবে।