‘শিশুদের মানসিক ক্ষতি করছে এআই’

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ‘কমনসেন্স মিডিয়ার’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ করে ফেলছে বলে মত দিয়েছেন গবেষক ও অভিভাবকদের একটি অংশ। খবর: সিএনবিসি।

এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তবে অভিভাবকদের আরেকটি অংশ মনে করছে, এআইয়ের মাধ্যমে শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ছে।
প্রযুক্তির সঙ্গে শিশুদের সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। কমনসেন্স মিডিয়ার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি ১০ জনে সাত জন কিশোর কোনো না কোনো কাজে চ্যাটজিপিটি বা গুগল জেমিনাই ব্যবহার করছে। সংখ্যাটা কেন উদ্বেগের তা উঠে আসে প্রতিবেদনের পরের পয়েন্টে। হোমওয়ার্ক কিংবা স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট করার কাজে, অভিভাবক কিংবা শিক্ষকের অলক্ষ্যে এআই ব্যবহার করছে অন্তত ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী।

কমনসেন্স মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জিম স্টায়ার বলেন, দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করলেও এই প্রযুক্তি নিয়ে অভিভাবকদের ধারণা কম।
জরিপে দেখা যায়, সন্তানের এআই টুলস ব্যবহারের বিষয়ে জানেন না অন্তত ৩৭ শতাংশ অভিভাবক। এছাড়া, স্কুল বা হোমওয়ার্ক করতে এআইয়ের ব্যবহার কতটুকু সীমার মাঝে থাকতে হবে তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

অভিভাবকদেরও দাবি, এ বিষয়ে শিশুদের কোন নির্দেশিকা দেয় নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরাও জানায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও, বেশির ভাগ সময়েই দ্রুত ও সহজে উত্তর বের করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয় তারা।

জরিপে লক্ষ্য করা যায়, শ্বেতাঙ্গ ও ল্যাটিনো সমবয়সীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষার্থীদের মাঝে এটি ব্যবহারের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ। এতে করে জেনারেটিভ এআই সরঞ্জামের কারণে শিশুদের সৃজনশীলতা নষ্ট হতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন অধিকাংশ অভিভাবক। তবে দক্ষতা বাড়ালে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে শিশুরা আরও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় আগ্রহী হবে বলে আশাবাদী কৃষ্ণাঙ্গ অভিভাবকরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০