শিশুর আবদার কিংবা বায়না মেটাতে স্মার্টফোন মোক্ষম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তার জন্য প্লে স্টোর থেকে পছন্দের গেমস ডাউনলোড, ইউটিউবে ভিডিও দেখা এখন সহজ হয়ে গেছে। এছাড়া শিশুদের অনুপযোগী ওয়েবসাইটগুলোয় ঢুঁ মারার হারও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা নিয়ে শঙ্কিত অভিভাবক। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। গুগলের ‘ফ্যামিলি লিংক’ অ্যাপটি শিশুদের স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যাপটি থেকে অভিভাবকরা যে সুবিধা পাবেন-
অ্যাপটি দিয়ে শিশুর স্মার্টফোন বা ট্যাব নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। এটি নামিয়ে নিতে পারেন goo.gl/ZSIo7m লিংক থেকে। তবে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম হতে হবে কিটক্যাট ৪.৪ বা এর চেয়ে আপডেট।
1. স্মার্টফোনে এটি ইনস্টল করতে হবে। এরপর যে স্মার্টফোনটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা সংযুক্ত করতে হবে।
2. অ্যাকাউন্ট খোলার সময় পুরো নাম ও একটি ইউজার নেম দিতে হবে। ক্রেডিট কার্ড নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য গুনতে হবে ৩০ সেন্ট।
3. নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শেষ হলে নিয়ন্ত্রণকারীর মোবাইলে নোটিফিকেশন আসবে। এভাবে দুটি ফোন সংযুক্ত হয়ে যাবে।
4. নিয়ন্ত্রক ফোন থেকে সংযুক্ত করা ফোনটির গুগল ক্রোমে ওয়েবসাইট ব্লক, অ্যাপের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ, ডাউনলোড নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইন কেনাকাটায় বাধা দেওয়া যাবে।
5. শিশুর ফোন থেকে যে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে চাইলে নিয়ন্ত্রক ফোনে অর্থাৎ অভিভাবকের ফোনে নোটিফিকেশন আসবে। অনুমতি পাওয়ার পর ইনস্টল হবে অ্যাপটি। প্রথমবার নিয়ন্ত্রক ফোন থেকে পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে হবে।
6. অ্যাপের অন্যান্য সুবিধাগুলোর মধ্যে স্ক্রিন টাইম ফিচারটি অন্যতম। এর মাধ্যমে সন্তান কতক্ষণ মোবাইলে কাটাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে।
7. নিয়ন্ত্রণকারীর ফোন থেকে লক স্ক্রিনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, ব্যবহারের সীমাও নির্ধারণ করা যাবে।