শিশুর বিকাশে প্রোটিন

রাহাতুল ইসলাম: সব মা-বাবাই চান তাদের সন্তান সুস্থ-সবল হোক। সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক। শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য দরকার পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্যতালিকা। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশুর জন্য এ ধরনের খাবার খুবই জরুরি। বাড়ন্ত বয়সে শরীরে কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল প্রয়োজন।

ব্যস্ত জীবনযাপনের জন্য হয়তো শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে ভুলে যান অনেক মা-বাবা। এতে শিশুরা ঝুঁকে পড়ে ফাস্টফুডের দিকে। এ ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার শিশুর শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিশুর ওজন বেড়ে যায়। নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই এসব খাবার এড়িয়ে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো দরকার। এর মধ্যে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ।

শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশেও প্রোটিন খুব জরুরি। শুধু মজবুত পেশিই নয়, দেহে সব ধরনের কোষ তৈরিতে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যও প্রোটিন জরুরি। শিশুদের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সব কিছুর ভারসাম্য থাকা উচিত।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলামের মতে, প্রতি দিনের খাবারে আমিষের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখা উচিত। তিনি বলেন, ‘বাঙালির খাবার বৈচিত্র্যময়। ফলে খাবারে সামঞ্জস্য থাকে। তবে ভাত কিংবা মাংস কোনোটাই বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। ভাত, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস সবকিছু খাবার তালিকায় থাকা জরুরি। তবে প্রোটিন যেন বেশি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মাংসজাতীয় খাবার খেলে চর্বি বেড়ে যেতে পারে।’

খাদ্যতালিকায় আমিষজাতীয় খাবারের ঘাটতি থাকলে দুধ ও সয়াবিনজাতীয় খাবারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিশুর বিকাশে প্রোটিন খুব জরুরি। তাই আমিষ কিংবা নিরামিষ যে কোনো খাবারের মধ্য দিয়ে সেটা শরীরে যেতে হবে। খাবার সুষম হওয়া উচিত। তাই প্রতিদিনের খাবার যেন শুধু প্রোটিনসমৃদ্ধ না হয়, তাও দেখতে হবে।’ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। যে কোনো অস্ত্রোপচারের পর শিশুর শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকলে ক্ষতস্থান ঠিক হতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। এ-ছাড়া অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময়ও সমস্যা তৈরি হতে পারে।’

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০