মাথায় আঘাত গুরুতর না হলেও পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শিশুর ওপরে নজর রাখতে হবে। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেকোনো সময় যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। তবে শিশুদের ব্যাপারে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শিশুরা খেলতে গিয়ে, লাফালাফি করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেতে পারে। চেয়ার, টেবিল, খাট থেকে পড়ে যেতে পারে। ছুটতে গিয়ে দেয়ালে বা আসবাবে মাথা ঠুকে যেতে পারে। নানাভাবেই শিশু মাথায় আঘাত পেতে পারে। তাই আগে থেকে জেনে রাখা দরকার, শিশু মাথায় আঘাত পেলে কী করবেন।
আঘাতে কী হতে পারে : ক. মাথা ফুলে যেতে পারে; খ. কেটে রক্ত বের হতে পারে; গ. বেশি আঘাতে মাথার খুলি ভেঙে যেতে পারে। এমনকি খুলির ভেতরে মস্তিষ্ক ফুলে যেতে পারে।
উপসর্গ : ১. শিশু বেশি কাঁদবে; ২. নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে; ৩. কথা বলতে বা দেখতে অসুবিধা হতে পারে; ৪. নাক, কান, মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে; ৫. বমি ও খিঁচুনি হতে পারে। এমনকি অচেতন হয়ে যেতে পারে।
কী করবেন: প্রথমেই শিশুকে শুইয়ে দিয়ে মাথায় আঘাতের বা ফোলা স্থানে আইসপ্যাক (বরফ) লাগাতে পারেন। চামড়া কেটে রক্ত বের হতে থাকলে রক্তপাত বন্ধে কাটা স্থান চেপে ধরে রাখতে হবে।
উল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে নিউরোসার্জনের পরামর্শ নিয়ে মাথার সিটি স্ক্যান করাতে হবে।
কখন হাসপাতালে নেবেন : ক. শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে; খ. ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বমি করলে; গ. খিঁচুনি হলে; ঘ. রক্তপাত বন্ধ না হলে।
সাবধানতা: মাথায় আঘাত গুরুতর না হলেও পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শিশুর ওপরে নজর রাখুন। শিশুর কান্না থামানোর জন্য কখনও জোরে ঝাঁকাবেন না। সাইকেল চালানো, স্কেটিং বা ক্রিকেট খেলার সময় মাথায় হেলমেট পরানোর অভ্যাস করুন।
অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ
নিউরোসার্জারি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা