শিষ্যদের অর্জনে খুশি বেলজিয়াম কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক: বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য এত দিন বিশ্বকাপে ছিল চতুর্থ স্থানে, কিন্তু গত পরশু সেন্ট পিটার্সবার্গে ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে দলটি। শিষ্যদের এমন অর্জনে দারুণ খুশি হয়েছেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ মঞ্চে তৃতীয় হওয়া বেলজিয়ামের জন্য দারুণ কিছু। এ ব্যাপারে মার্তিনেজ বলেন, ‘আমরা একটা মাইলফলক দাঁড় করেছি এবং এই ছেলেরা যার যোগ্য। আমরা এটা (বিশ্বকাপ) জিততে চেয়েছিলাম। অবশ্যই আপনি যখন ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠবেন, তখন শিরোপা জয়ের চেষ্টায় আপনার মনোযোগ থাকবে। কিন্তু আমাদেরও বাস্তববাদী হতে হবে এবং যখন আমরা পিছু ফিরে এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকাব, দেখব বেলজিয়ামের এই ছেলেরা ইতিহাস গড়েছে এবং এটাই সবকিছু।’
আগের সাফল্য ছাপিয়ে বিশ্বকাপে সেরা অর্জনে পৌঁছাতে বেলজিয়ামের লেগেছে ৩২টি বছর, যা ম্যাচ শেষে স্মরণ করেছেন মার্তিনেজ। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর আসরে বেলজিয়ামের ১৯৮৬ প্রজšে§র অর্জন সবসময় অনুপ্রেরণার ছিল এবং বেলজিয়ামের ফুটবলে তারা একটা লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। এই ছেলেরা সেটা অতিক্রম করেছে এবং এটা ঐতিহাসিক। এই পর্যায়ে পৌঁছাতে ৩২টি বছর লেগেছে এবং এটা সন্তুষ্টির আসল স্বাদ দিচ্ছে।’
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় হওয়াতে কোচের মতো খুশি ভিনসেন্ট কোম্পানিও। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। আমরা তিনটা দিন খুব কষ্টের মধ্যে ছিলাম; কেননা ফ্রান্সের কাছে হারটা ছিল কঠিন। আমরা শনিবার দেখালাম যে সত্যিই আমরা তৃতীয় স্থান পেতে চেয়েছি। বেলজিয়ামের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম আমরা বিশ্বকাপে তৃতীয় হলাম। এটা বেলজিয়ামের জন্য ভালো। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের পারফরম্যান্স ছেলেবেলায় আমি দেখতাম। এই প্রজন্ম এক ধাপ এগিয়েছি। যদি আমরা ফাইনালে যেতে পারতাম, তাহলে জিততাম। তাহলে ভালো হতো। কিন্তু তৃতীয় হওয়াটাও সুন্দর। সাত ম্যাচের মধ্যে ছয় জয় এটা আমাদের সমর্থকদের জন্য উপহার। সবাইকে ধন্যবাদ।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০