শীতে প্রকৃতির রূপ বদলের সঙ্গে মানব শরীরেও পরিবর্তন দেখা যায়। সতর্কতার অভাবে শরীরে ভর করে নানা রোগ। বিশেষত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া বা আমাশয়, ত্বকে সমস্যার মতো রোগগুলো এ সময় বেড়ে যায়। তাই শীতে দরকার বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা। এ ঋতুর কিছু পরিচিত রোগ ও প্রতিরোধের উপায় জেনে নিতে পারেন,
নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কোলাইটিস
শীতে নিউমোনিয়ার প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর উপসর্গগুলো হলো: জ্বর, কাশি, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। শুরুতে এগুলোর মাত্রা কম থাকলেও পরে তা বেড়ে যায়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়রিয়া ও আমাশয়
দূষিত পানি পান কিংবা জীবাণুযুক্ত খাবারের কারণে আক্রান্ত হতে পারেন আমাশয়, ডায়রিয়ায়। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাদ দিতে হবে বাসি খাবার। একই সঙ্গে টয়লেটের পর অথবা ময়লা পরিষ্কারের পর জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া বসবাসের জায়গা সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখুন।
শুষ্ক ত্বক
আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে শীতে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। যে কারণে পায়ের গোড়ালি ফাটা, ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এসব থেকে বাঁচতে গোসলের পর ও রাতে শোয়ার আগে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, লোশন, গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার ত্বক থাকবে সুরক্ষিত ও মসৃণ। এছাড়া শীতকালে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে বাড়তি সচেতনতা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস আপনাকে রাখবে সুস্থ ও আত্মপ্রত্যয়ী। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপভোগ করুন প্রতিটি দিন।