Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:56 pm

শীতের প্রকোপে হাসপাতালে রোগীর ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে দেশের হাসপাতালগুলোয় তিন দিনে প্রায় ছয় হাজার ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ৯০৫ জন হাসপাতালে গেছেন, যার মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নেন দুই হাজার সাতজন।

হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী ডা. আয়শা আক্তার বলেন, শীতের কারণে নানা রোগে ভুগছেন মানুষ। জনগণকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৩ জন; ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার সাতজন; জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২১১ জন।

এ সময়ে নানা রোগে সারা দেশে ছয় হাজার ৭১ নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় ঢাকায় ৩৬৫ জন, ময়মনসিংহে ১৯৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৩৮ জন, রাজশাহীতে ১১৭ জন, রংপুরে ১৬৪ জন, খুলনায় ৩৯৬ জন, বরিশালে ১২৭ জন ও সিলেটে ২০৭ জন চিকিৎসা নেন।

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ঢাকায় ১৪৬ জন, ময়মনসিংহে ২০২ জন, চট্টগ্রামে ১৪৫ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন, রংপুরে ৫৩ জন, খুলনায় ১৮০ জন, বরিশালে ৪৯ জন ও সিলেটে ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অন্তত আরও দুই দিন চলবে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।

পৌষের শুরুতে কুয়াশার চাদর ও শৈত্যপ্রবাহকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, উচ্চ চাপবলয় ও উত্তর-পশ্চিমা শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ (জেড বায়ু) বেশি সক্রিয় থাকায় এবং কুয়াশা ও জলীয় বাষ্পে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় শীতও তীব্র অনুভূত হচ্ছে।