শীতে তিনটি রোগ

শীত মৌসুম আরামপ্রদ, উপভোগ্য। তবে প্রকৃতিগত কারণে রোগবালাইও হয় এ সময়। এর মধ্যে অন্যতম অসুখ হাঁপানি, সর্দি-কাশি, টনসিলের সমস্যা। একটু সতর্ক হলে রোগগুলো থেকে দূরে থাকা সম্ভব। অসতর্কতায় দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, রোগের কারণ ও করণীয়:

 

হাঁপানি

ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে। তাছাড়া এ রোগের পেছনে ধুলোবালিও দায়ী। বছরের অন্য সময়েও যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ফুসফুস ও রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টের প্রদাহ বা অ্যালার্জির কারণে শীতের সময়ে হাঁপানির ঝুঁকি তুলনামূলক অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। এ রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এছাড়া রোগীকে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে মাস্ক পরে চলাচল করা, খাবার নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ ও ধুলোবালি থেকে মুক্ত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

 

সর্দি-কাশি

শীত মৌসুমে সর্দি-কাশি আমাদের কাবু করে ফেলে। বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে এমন হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি, লালা থেকে রোগ সংক্রমিত হয়। কেউ আক্রান্ত হলে তার গলাব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে অনবরত সর্দি বের হওয়া, কাশির প্রবণতা বেড়ে যায়। যার কারণে রোগীর গলা-বুক-পেটেও ব্যথা অনুভূত হয়। একই সঙ্গে দেখা দিতে পারে খাবারে অরুচি ও পাতলা পায়খানা।

রোগ থেকে সেরে উঠতে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রয়োজন বিশ্রাম। একই সঙ্গে প্রচুুর পানি, ফলের জুস খেতে হবে। তাজা ফলমুল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। রাস্তায় বের হওয়ার সময় মাস্ক পরে বের হওয়া উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা ভালো। তার ব্যবহƒত জিনিসপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।

 

টনসিলে সমস্যা

শীতে টনসিল বড় হওয়া বা প্রদাহ একটি সাধারণ রোগ হিসেবে বিবেচিত। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি গলাব্যথা, ঢোক গিলতে কষ্ট, জ্বর, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় সমস্যায় পড়েন। এ কারণে মুখে ও গলায় অনুভূত হয় তীব্র যন্ত্রণা। অনেকে বার বার টনসিলের সমস্যায় ভোগেন।

এর কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে। যেমনÑগরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করা, গরম ভাপ নেওয়া। এরপরও যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০