Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:12 pm

শীতে সর্দি কাশি থেকে বাঁচার ৫ উপায়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলে এসেছে শীত। আর এই শীতে অনেকেরই সর্দি-কাশির সমস্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। এ সময় সর্দি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং গলা ব্যথায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফলে দৈনন্দিন কাজগুলো করার ক্ষেত্রেও বাঁধা তৈরি হয়।

আর সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে আমরা ওষুধের পাশাপাশি গরম পানি পান ও ভাপ নিয়ে থাকি। কিন্তু ওষুধে অসুস্থটা দূর করার সাথে সাথে অনেক সময় ব্যস্ততার কারনে গরম ভাপ নেয়া হও পানি পানের সুযোগ হয় না। তাই কেমন হয় যদি অসুস্থ হওয়ার আগেই সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করা যায়?

শীতকালে সর্দি-কাশিকে প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকতে হলে করতে পারেন এই ৫টি কাজ-

মহামারী করোনা ভাইরাস আসার পর আমরা সবাই কম বেশি নিয়মিত হাত ধুতে অভ্যস্থ হয়েছি। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে শীতের মৌসুমেও এটি চালিয়ে যেতে হবে। সর্দি-সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচি থেকে ছড়িয়ে পড়ে, যা ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। তাই, অসুস্থ হতে না চাইলে খাওয়া বা মুখ স্পর্শ করার আগে হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

শীতকালে প্রতিদিন পানি পানের মাত্রা কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের পিপাসা কম লাগে, তাই আমরা বেশি পানি পান করি না। কিন্তু এমনটা করবেন না। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে দিনে দৈনিক অন্তত ২ লিটার পানি পান করুন। এমনকি তরল গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে স্যুপ এবং হাড়ের ঝোলও খেতে পারেন।

শীতকালীন রোগ থেকে বাঁচতে  নিয়মিত স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খেতে হবে। এটি আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে। জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রায় বিশেষ মনোযোগ দিন। এই দুটি পুষ্টি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশি করে শাক, আস্ত শস্য, বাদাম এবং ফলমূল খান।

ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য অপরিহার্য। নিদ্রাহীনতা বা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুম ভালো হলে তা আমাদের শরীরে সাইটোকাইন তৈরি করে, এটি সংক্রমণ এবং প্রদাহকে দূরে রাখে। সুতরাং, আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

শরীরচর্চা শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য বা পেশী তৈরির জন্য অপরিহার্য নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, ব্যায়াম আমাদের ইমিউন কোষগুলোকে শরীরের চারপাশে আরও দ্রুত ভ্রমণ করতে সহায়তা করে। এইভাবে, এটি শরীরকে আরও ভালো উপায়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। হাঁটা, যোগব্যায়াম, ধ্যান, দৌড়ানো ইত্যাদি আপনাকে সাহায্য করবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।