নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার পৌষের মাঝামাঝি থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল না শীতের আঁচ। সেই অবস্থা কেটে গত দুই দিন তাপমাত্রা কমেছে কিছুটা। এতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভ‚ত হচ্ছে। সঙ্গে কুয়াশাও অনেক বেশি। আগামী কয়েক দিন এ অবস্থা বিরাজ করবে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী দুই-তিন দিন এই তাপমাত্রাই থাকবে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে চলতি মাসে খুব বেশি তাপমাত্রা বাড়বে না। শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকবে। এরপর কমে আসবে প্রকোপ। এছাড়া খুব বেশি এলাকায় ছড়াবে না এই প্রবাহ এবার।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
গতকাল ভোরে বদলগাছিতে থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ছয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা সারা দেশে সবচেয়ে কম। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল ১৬, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক চার, চট্টগ্রামে ১৭, সিলেটে ১২ দশমিক আট, রাজশাহীতে আট দশমিক পাঁচ, রংপুরে ৯ দশমিক পাঁচ, খুলনায় ১৫ দশমিক পাঁচ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
চলতি শীত মৌসুমে এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।