যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেনের অভিযোগ
শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্রেমলিন আগামী শীত মৌসুমে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। খবর: এবিসি নিউজ।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে হওয়া এক অনুষ্ঠানে ব্লিকেন বলেছেন, বিদ্যুৎকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে রাশিয়া ইউক্রেইনের ওপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর প্রতি ইউক্রেনের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ব্লিনকেন মনে করেন, রাশিয়ার হামলায় যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কার করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অক্ষত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো রক্ষা করাও জরুরি। সম্ভাব্য বিরূপ পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউরোপের অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে ইউক্রেনিয়ানদের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতের ওপর তিনি জোর দেন।
এদিকে পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যান্টনের একটি গোলাবারুদ উৎপাদনকেন্দ্রে পরিদর্শন করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত গোলাবারুদ ইউক্রেইনকে সরবারহ করায় কেন্দ্রটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাতে সেখানে যান তিনি। এসময় বেশ কয়েকটি মিসাইলে সৌজন্য স্বাক্ষ্যর করেন জেলেন্সকি।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস রিচার্ড হাস মনে করছেন, আগামী বছর রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ কূটনৈতিক সমাধানের দিকে মোড় নিতে পারে। এক্ষেত্রে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প বা হ্যারিসের জয় এই বিষয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে ‘বিজয় পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিকল্পনা উন্মুক্ত করা হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধ অবসানে কিয়েভের পরিকল্পনা জানাবেন।
পুরো গ্রীষ্মে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলেছে। মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। আর কিয়েভ রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের অংশ দখলে রেখেছে। রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে কিয়েভ পশ্চিমাদের চাপ দিয়েছে। তবে এতে কোনো সুফল আসেনি। হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের সময় জেলেনস্কি এ নিয়ে বাইডেনের মনোভাব বদলের চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।