আরিফ হোসেন, বরিশাল: বরিশাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান (সজল) পেয়েছেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার সততা-দক্ষতা ও কর্তব্য পরায়নতা দেখে তাকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করেছে এলজিইডি সদরদপ্তর।
অফিসের সুন্দর কর্মপরিবেশ ও সহকর্মীদের সহযোগিতার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন বলে মনে করেন হাফিজুর রহমান। তাই পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন এলজিইডি পরিবারকে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে আইনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সৎ ও দক্ষদের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করেছে সরকার। জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা অনুযায়ী
এবারই প্রথম শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করেছে এলজিইডি সদরদপ্তর।
পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি কর্তব্যনিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠানের বিধি বিধান মেনে সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন হাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা ও পেশাগত পরিবেশবিষয়ক নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান আনুষ্ঠানিকভাবে হাফিজুর রহমানের হাতে ২০২০-২১ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা স্মারক ও চেক তুলে দেন। এলজিইডি সদর দপ্তর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সব অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিত ছিলেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর একটি অনুশাসন ব্যবস্থা। সরকারের উদ্দেশ্য, আমরা সবাই ভলো হয়ে যাই। তাই ভালো কাজের জন্য পুরস্কার ও মন্দ কাজের জন্য তিরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন। এলজিআরডিমন্ত্রীও এ সেøাগান দিয়েছেন। তাই পুরস্কারটি আমার একার নয়, এলজিইডি পরিবারের সবার। কারণ পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহকর্মীদের সহযোগিতায় ভালো কর্ম পরিবেশ পেয়েছি।
বরিশাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সেবা গ্রহিতা যা চাচ্ছেন তা পাচ্ছেন কি না সেটা বিবেচনায় রেখে সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি সহকর্মীদের সাবলীলভাবে কাজ করতে সুযোগ করে দিচ্ছি। তাদের এ কর্তব্য নিষ্ঠায় গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মাণকাজের গুণগতমান বেড়েছে বলে জানান তিনি।
