Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 7:44 pm

শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি: ঐতিহ্য অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না ঢাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের ঐতিহ্য অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক তোফায়েল আহমদের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে শুনানিকালে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। শুনানি শেষে প্রভাষক পদে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তিনি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকতে পারবেন না।

এ সময় সাবেক এক উপাচার্যের কথা উল্লেখ করে এবং তার নাম প্রকাশ না করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হতেন তাদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আর সেটি হচ্ছে না। এটা অ্যালার্মিং।’

আদালতে তোফায়েল আহমেদের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তোফায়েল এসএসসি পরীক্ষায় মার্ক কম পেয়েছে। হাইকোর্ট তার নিয়োগ অবৈধ করায় তাকে ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না।’ হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানান তিনি। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ রায় স্থগিত না করে ‘নো অর্ডার’ দেন। এ আদেশের ফলে তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমএমজি সারোয়ার।

গত ২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক পদে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এছাড়া ওই শূন্য পদে নিয়োগের জন্য নতুন করে কমিটি গঠন করে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি রিট আবেদনটি করেন দর্শন বিভাগে শিক্ষক পদে আরেক আবেদনকারী এইচএম মিরাজ সৌরভ। রিট আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২ জুলাই দর্শন বিভাগে দুজন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি-তে যোগ্যতা চাওয়া হয় সিজিপিএ-৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত বছরের ২৯ ডিসেম্ব^র দুজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয় দর্শন বিভাগ। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত দুজনের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের সিজিপিএ-৩.১৯। ফলে তিনি এ পদে আবেদন করারই অযোগ্য বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।