Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:13 am

শুরুতে আশা জাগিয়ে শেষে হতাশ করল বাজার

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল লেনদেনের শুরুটা ইতিবাচক গতিতেই হয়। প্রথম ২০ মিনিটে শেয়ার কেনার চাপে সূচক ১৬ পয়েন্ট ইতিবাচক হয়। তবে পর মুহূর্তে বিক্রির চাপ বাড়লে ২৮ পয়েন্ট নেমে যায় সূচক। এরপর ফের কেনার চাপ বাড়তে থাকে। সূচক ফের ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এতে করে বিনিয়োগকারীদের মনে সামান্য আশা দেখা দিলেও তা স্থায়ী হয়নি। কারণ এরপর সূচক অস্থিরভাবে ওঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত নেমে যায়। দিনশেষে তিন দশমিক ৭৬ পয়েন্ট পতন হয়। এতে করে চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিনই সূচকের পতন হলো। আর লেনদেন কমতে কমতে ২৩৯ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আগের দিনের তুলনায় দরপতনের হার সামান্য কমেছে। দর বৃদ্ধিতে কোনো খাতের একক প্রাধান্য ছিল না। তুলনামূলক কম পতন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। একটি কোম্পানির দরও বাড়েনি টেলিযোগাযোগ ও সিরামিক খাতে।

১৭ শতাংশ লেনদেন হয়ে শীর্ষে ছিল বিমা খাত। এ খাতে প্রায় ৬০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের আট কোটি ২৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০ পয়সা। প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের পাঁচ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। স্কয়ার ফার্মার ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা ৭০ পয়সা। বীকন ফার্মার সাড়ে চার কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় ৪০ পয়সা। প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ করে। প্রকৌশল খাতে ৪৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে জিকিউ বলপেন ও সোয়া চার শতাংশ বেড়ে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। এর মধ্যে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের সোয়া পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে ৪০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া ৯ শতাংশ বেড়ে আনলিমা ইয়ার্ন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। গত আর্থিক বছরে মাত্র পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ায় কোম্পানিটি এ থেকে বি ক্যাটেগরিতে নেমে যায়। তবে কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ১৯) তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে তিন পয়সা লোকসানে ছিল। এছাড়া সাড়ে তিন শতাংশ বেড়ে হা ওয়েল টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। প্যারামাউন্ট ও রিং শাইন টেক্সটাইল কোম্পানি দুটির প্রায় পাঁচ কোটি টাকা করে লেনদেন হলেও দরপতনে ছিল। বিবিধ খাতের জিকিউ বলপেন ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। সিনোবাংলার ছয় কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া  জ্বালানি খাতের খুলনা পাওয়ারের ৯ কোটি টাকা লেনদেন হলেও প্রায় দুই টাকা দরপতন হয়। ইউনাইটেড পাওয়ারের সাড়ে চার কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।