প্রতিনিধি, জবি: নতুন শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় এই প্রক্রিয়ায় আবেদন শুরুর উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে আবেদন গ্রহণ।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গুচ্ছ পদ্ধতির টেকনিক্যাল সাব-কমিটি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওই কমিটির প্রধান এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছভুক্ত পদ্ধতির সভাপতি (দায়িত্বে) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএসটি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব এবং সময় বাঁচাতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা মাত্র একটি আবেদনের মাধ্যমেই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা(www.gstadmission.ac.bd) ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন ফরম পূরণ করে এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিএসটি’র সভাপতি (দায়িত্বে) বলেন, এ বছর ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও ভর্তি কার্যক্রমসহ সবকিছু কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু একবারই টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি ১০০ নাম্বারের ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বরে পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমে যাবে। আগে যেখানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদের অর্থ ও সময় নষ্ট হতো, এখন আর তেমনটা হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শুধু একটি আবেদনের মাধ্যমেই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমে যাবে।
এ বছর ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদেরও আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারা আবেদন করতে পারবেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা, বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৭ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া), ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬.৫ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) নির্ধারণ করা হয়েছে।