নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্কমুক্ত মেরিন ফুয়েল (সামুদ্রিক জ্বালানি) বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানি লিমিটেড। আইএমও রেগুলেশন অনুযায়ী কোম্পানি দুটি মেরিন ফুয়েল বিক্রি করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পদ্মা অয়েল কোম্পানিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন শুল্কমুক্ত মেরিন ফুয়েল বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোম্পানিটি চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের জন্য মেরিন ফুয়েল সরবরাহ করবে। অন্যদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়াম বাংলাদেশের পানিতে দেশি এবং বিদেশি জাহাজের বাংকার হিসাবে শুল্কমুক্ত মেরিন ফুয়েল বিক্রি করবে। কোম্পানি দুটি প্রতি লিটার মেরিন ফুয়েল বিক্রি করে ৫৫ পয়সা মার্জিন পাবে।
এদিকে সম্প্রতি ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি এলপিজি বিক্রির উদ্দেশ্যে এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করবে এবং কোম্পানির নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রি করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে কোম্পানিটি ৫০ পয়সা রয়ালিটি পাবে।
কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ টাকা ৩৮ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা ৪৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা শূন্য সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩০৫ কোটি চার লাখ টাকা।
আর ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। কোম্পানিটি এলপিজি বিক্রির উদ্দেশ্যে এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করবে এবং কোম্পানির নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রি করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে কোম্পানিটি ৫০ পয়সা রয়ালিটি পাবে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রকাশ করেছে কোম্পানি। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে পাঁচ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা দুই পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৯-মার্চ ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৫ টাকা ১৬ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৫ টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে ৩৭৯ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।