শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজস্ব বাড়ানোর জন্য শুল্কহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। খবর: আল জাজিরা।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে দেউলিয়া হয়ে গেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থনৈতিক সংস্কারে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর ও করপোরেট কর বাড়ানো।
ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতে পারেন। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে এতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় যৌক্তিকীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, গত মাসে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৩৯ দশমিক এক শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিলে এই হার ছিল ২৯ দশমিক আট শতাংশ।
মূল্য সংযোজন কর আট থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সরকারের আয় বাড়তে পারে ছয় হাজার ৫০০ কোটি রুপি (শ্রীলঙ্কার মুদ্রা)। তাছাড়া করপোরেট কর ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ করা হবে, যা কার্যকর হবে আগামী অক্টোবরে। এতে আয় হবে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ২০০ কোটি রুপি।
শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। নির্বাচন সামনে রেখে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। একে তখনকার সরকার নির্বাচনী কৌশল হিসেবে ধরে নিয়েছিল। সে সময় অর্থমন্ত্রী মঙ্গলা সামারাবিরা মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আট শতাংশ করা এবং অন্যান্য শুল্ক বাতিল করার প্রতিশ্রæতি দেন। তখন তিনি বলেন, রাজাপক্ষের এ প্রস্তাব যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সারাদেশে মারাত্মক সংকট তৈরি হবে। দেশে ভেনেজুয়েলা ও গ্রিসের মতো সংকট হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেন তিনি।
তার ওই পূর্বাভাস সত্য হতে মাত্র ৩০ মাস লেগেছে। এর মধ্যে যুদ্ধ, কভিড-১৯ মহামারি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জর্জর হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। একই সঙ্গে চরম বেকায়দায় পড়েছেন শ্রীলঙ্কার পপুলিস্ট নেতা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
