কমল চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ-৬: ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে রূপকল্প ২০২১: ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত বিদ্যুৎ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট জনগোষ্ঠী মুজিববর্ষের মধ্যেই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী উদ্যোগকে ব্যাপকভাবে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ২০১২ সাল থেকে দেশব্যাপী জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ পালন এবং স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহণে বিদ্যুৎ ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ অর্থনীতি শিল্প-বাণিজ্যসহ জনজীবনের জন্য অত্যাবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ খাতে গত সাড়ে ১২ বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে সবার জন্য বিদ্যুৎ, যৌক্তিক ও সহনীয় মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে চলতি বছরের মধ্যে সবার জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। সে সময় সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এ খাতের সার্বিক ও সুষম উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।
একইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, কয়লা, ডুয়েল ফুয়েল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নিউক্লিয়ার এনার্জিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের সাড়ে ১২ বছরে ২০০৯ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
পাওয়ার সেলের তথ্যমতে, সরকারের ১২ বছরের চেষ্টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭ থেকে ১২৮টিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। ২০০৯ সালে মোট ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেগুলোর মোট ক্ষমতা ৩৫৬ মেগাওয়াট। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৭৭৫ মেগাওয়াট।
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সরকারি খাতে ৬ হাজার ৭০৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি এবং বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চলতি বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারি খাতে ২ হাজার ৭৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি এবং বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৮৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে সরকারি খাতে ৭ হাজার ৬১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরবর্তন ঘটবে। এক নজরে ২০০৯ থেকে ১৮ জুলাই ২০২০ সাল পর্যন্ত সাড়ে ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩ হাজার ১০০ মেগাওয়াট থেকে ২১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৭ শতাংশে উন্নীত করাসহ মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট আওয়ার হতে ৫৬৪ কিলোওয়াট আওয়ারে উন্নীত করা হয়েছে। এ সঙ্গে ৯৯ লাখ নতুন গ্রাহক সংযোগের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎসুবিধা দেয়া হয়েছে এ সময়ের মধ্যে।
বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার লক্ষ্যে ভার্টিকাল সেপারেশনের মাধ্যমে সঞ্চালন খাতকে উৎপাদন ও বিতরণ খাত থেকে পৃথককরণের জন্য কোম্পানি আইনের আওতায় ১৯৯৬ সালে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড গঠন করা হয়।
পিজিসিবি সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন সিস্টেম নেটওয়ার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সঞ্চালন গ্রিড নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সঙ্গে সংগতি রেখে বিদ্যুতের গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
অনলাইনের মাধ্যমে নিয়োগ ব্যবস্থাপনা চালু, সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ; কেপিআই ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকরণ; ই-টেন্ডারিং, ই-ফাইলিং ও সমন্বয় সভার জন্য অনলাইনভিত্তিক সফটওয়্যার চালুর মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন; অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, মোবাইল ফোন ও অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ; পিএমআইএস সফটওয়্যার পদ্ধতি চালুকরণ, অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বাস্তবায়ন, অনলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন ব্যবস্থাপনা, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎসেবা প্রদান, প্রি-পেইড মিটারিং পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে তুলনামূলক কম অর্থ বিনিয়োগ করে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে এরই মধ্যে নবায়নযোগ্য খাত থেকে ৪০৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সরকার চলতি বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ জন্য রোডম্যাপও প্রণয়ন করেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিই আমাদের ভবিষ্যৎ। কারণ এই খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় অন্য যেকোনো পদ্ধতির চেয়ে কম। ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ঘিরে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি বা জ্বালানির ব্যবহার ও এর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনীতি কার্যকর করা হয়। নীতিমালায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির মূল উৎস হিসেবে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, বায়োমাস, হাইড্রোপাওয়ার, বায়োফুয়েল, জিওথার্মাল পাওয়ার, নদীর গ্রোত, সমুদ্রের ঢেউ প্রভৃতিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় চলতি বছর এবং তার পরবর্তী বছরগুলোতে নবায়নযোগ্য শক্তি হতে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নবায়নযোগ্য শক্তি হতে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে পাবলিক সেক্টর থেকে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট এবং বাকি অংশ বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা শক্তির মূল পার্থক্য হলো শক্তির উৎসটির নবায়নযোগ্যতা। অর্থাৎ যে উৎসটি ব্যবহার করা হবে, সেটি যাতে সহজে নিঃশেষ না হয়ে যায়। জীবাশ্ম জ্বালানির বিভিন্ন উৎস, যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে, ১৯৬২ সালে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ইউনিটে ২৩০ মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর স্থাপন করা হয়। পানির প্রবাহ ছাড়া আর কোনো জ্বালানি না লাগায় কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ২৫ পয়সারও কম। কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেটিকে ২০১৫ সালের জাতীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল সর্বোচ্চ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বীকৃতি।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নবিষয়ক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যানুযায়ী সরকার দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎসুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর। সে অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। একইভাবে ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৮৩৩, চলতি বছরে ৪ হাজার ৭২ এবং ২০২১ সালে ৩ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা। এ চার বছরে যুক্ত হওয়া বিদ্যুতের মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ৮ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং বেসরকারি খাত থেকে ৭ হাজার ৪৯৫ মেগাওয়াট। পিডিবির মতে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের যে মহাপরিকল্পনা করেছে, তাতে চলতি বছরের মধ্যে দেশের মানুষ শতভাগ বিদ্যুৎ পাবেন। বিদ্যুতের উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে চাহিদাও। সে চাহিদাপূরণে সরকারও বদ্ধপরিকর। মহাপরিকল্পনা অনুসারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পালা। সেখানে আছে বড় কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছর বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। বর্তমানে মাতারবাড়ী, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কয়েকটি বড় কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শুরু হওয়া বড় কেন্দ্রের সবক’টিই কয়লাভিত্তিক। এ কাজে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলোর ৯০ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে চলতি বছরের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
পিআইডি নিবন্ধন