Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:35 am

শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি  আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে এক পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুন ছিল ৯৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা (লোকসান); অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা ৫১ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৫২ লাখ টাকা। মোট ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ১৮ শতাংশ এবং বাকি ৪২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬১ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা তিন পয়সা।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা (লোকসান)। আর ৩০ জুন তারিখে তাদের এনএভি দাঁড়িয়েছে ৯৪ পয়সা। আর ওই হিসাববছরে নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৯০ পয়সা।