নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইয়াকিন লিমিটেডের চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়ে ২৮ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১৪ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭১ পয়সা (লোকসান) আর ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ১৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাববছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ইয়াকিন পলিমারের পরিচালনা পর্ষদ। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৫ পয়সা (লোকসান) আর ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১১ টাকা ১২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৮০ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে আট কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর ইয়াকিন পলিমারের মোট শেয়ারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৭। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের, ২২ দশমিক ২২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে এক হাজার ২৬৪টি শেয়ার মোট ২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯ টাকা ২০ পয়সাতেই লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
