নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত অর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলোÑপ্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
তথ্যমতে, কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে প্রাইম ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা এক পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৩৪ পয়সা।
যমুনা ব্যাংক: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
এদিকে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে একক ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ ২০২৩ সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স: পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৮ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ৩ টাকা ৮০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।