নিজস্ব প্রতিবেদক: কারসাজি চক্রের খপ্পরে পড়া কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ফরচুন শুজের শেয়ারদর হারানো শুরু হয়েছে। বিতর্কের জš§ দেয়া কোম্পানিটি এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারের দর হারিয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যা গত সপ্তাহের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তথ্য বলছে, গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ১৪২ টাকা ৮০ পয়সা। এর পর থেকে পতন হতে শুরু করে শেয়ারটির। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শেয়ারটি লেনদেন শুরু ও শেষ করে ১৪০ টাকায়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারটি হাতবদল হয় ১২৯ টাকা ৩০ পয়সায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারের দর হারায় ১০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মাত্র ১৬ টাকা মূল্যের এ শেয়ারটির দর বৃদ্ধি শুরু করে গত বছর এপ্রিল থেকে। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি শেয়ারটির দর। ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেয় ডিএসই। কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো কারণ নেই। মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলেও জানায় ফরচুন কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা বুঝতে সক্ষম হন, কারসাজি চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে শেয়ারটি। এতে নাম চলে আসে এক সরকারি কর্মকর্তার বিনিয়োগের ও তার সিন্ডিকেটের কথা। এরপরই শেয়ারটির দর একপর্যায়ে গিয়ে থেমে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক বিনিয়োগকারী এতে আটকে গেছেন।
এতদিন শেয়ারটির হাতবদল খুব একটা দেখা যায়নি। এখন শেয়ারটি ছেড়ে দিতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ক্রমাগত দাম পড়তে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ডিএসই’র তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ২৯ লাখ টাকার। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার। দর হারানোর এমন প্রবণতা কোম্পানিটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তালিকায় স্থান দিয়েছে।
২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে ফরচুনের পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শতভাগ রপ্তানিনির্ভর প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে। ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। রিজার্ভ রয়েছে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
কোম্পানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফরচুন শুজের ঋণের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৬ সালে।